Saturday, December 3, 2011

হৃদয়ের অসুখ

 হৃদয় নিয়ে চিন্তিত নয় এমন মানুষ পাওয়া অসম্ভব। কেবল অসুখ নয় হৃদয় দেয়া নেয়া নিয়েও চিন্তায় থাকি আমরা। তবে এই পোষ্টে মন দেয়া নেয়া নয় আক্ষরিক আর্থেই হৃদয়ের অসুখ বা হার্ট ডিজিজ নিয়ে বলব। হার্ট প্রতিদিন ১০০০০০ বার রক্ত পাম্প করে বা বিট করে। সারা জীবনে এর সংখ্যা দাড়ায় ২.৫ বিলিয়ন বার। হৃদপিন্ড প্রতি ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৮ টন রক্ত পাম্প করে থাকে। বুকের ভেতর চাপা ব্যাথা, শ্বাস কষ্ট এবং বুকের ভেতর ধরফর করা সাধারনত হার্ট ডিজিজের মূল লক্ষন। হার্টে রক্ত প্রবাহ বাধা পেলে হার্ট ডিজিজ হতে পারে। কলেষ্টরেল বা অন্য কারনে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেধে সাধারনত রক্ত প্রবাহে বাধা হয়ে দাড়ায়। এছাড়া হৃদপিন্ড অনেক সময় তার রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন আমরা বলি হার্ট ফেইল করছে। যে সিগনালের ওপর হার্টপাম্প করার কাজটি নিয়মিত করে সেটি অনেক সময় বন্ধ বা এলোমেলো হয়ে যায় একে বলা হয় হার্ট ব্লক। তবে সাধারন ভাষায় হার্টের রক্তনালী বন্ধকেও হার্ট ব্লক বলা হয়। চর্বিযুক্ত খাবার , কলেষ্টরেল, ধুমপান, টেনশন এবং অলস জীবন যাপন হার্টের রোগের ঝুকি বাড়ায়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষের হার্ট ডিজিজের ঝুকি বেশী।

 অতএব, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না, ধুমপান বাদ দিন এবং ব্যায়াম করুন।

Thursday, December 1, 2011

চিকনগুনিয়া জ্বরের সার সংক্ষেপ

১৯৫৩ সালে তানজানিয়ায় চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাস একটি আলফা ভাইরাস, গোত্র টোগা ভাইরাস। এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গুর বাহক এডিস Adese aegypti মশা চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসেরও বাহক। অন্যান্য মশার কামড়েও এ রোগের বিস্তার হতে পারে তবে তা সীমিত আকারে। এডিস মশা সাধারনত দিনের বেলা কামড়ায়। এ রোগের লক্ষন গুলো হচ্ছে জ্বর , মাথা ব্যাথা , দূর্বলতা , বমি বমি ভাব , মাংশপেশীতে ব্যাথা , হাড়ের জোড় গুলিতে ব্যাথা, শরীরে র্যাশ , হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া এবং বমি। হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া এই লক্ষন চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মধ্যের প্রধান পার্থক্য । ডেঙ্গু জ্বরে হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া থাকে না। চিকনগুনিয়া জ্বরের বাহক এডিস Adese Aegypti মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ৭ দিনের ভেতর চিকনগুনিয়া জ্বরের আক্রমন হয়। চিকনগুনিয়া জ্বর কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ ব্যাপি হতে পারে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে হাড়ের জোড় গুলিতে ব্যাথা কয়েক মাস থাকতে পারে। একবার চিকনগুনিয়া জ্বর হয়ে গেলে সারা জীবনে আর চিকনগুনিয়া জ্বর হয় না। চিকনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসায় কোন এন্টিবায়টিক প্রয়োজন হয় না। চিকনগুনিয়া জ্বরের কোন টিকা নাই। জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। এসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকনগুনিয়া জ্বর নিশ্চত ভাবে সনাক্ত করা যায় তবে সাধারনত রক্ত পরীক্ষা ছাড়া রোগের লক্ষন দেখেই চিকনগুনিয়া সনাক্ত করা হয়। চিকনগুনিয়া জ্বরের কারনে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম বা অতি বিরল। মেজাম্বিক এর ভাষায় চিকনগুনিয়া অর্থ “ বাঁকা হয়ে যাওয়া ” জ্বরে হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়ার জন্য এই নামকরন। ডা: শাহরিয়ারের পোষ্ট (Somewhereinblog ) ডা,শাহরিয়ার -এর ব্লগ ( Prothom Alo Blog )